জন্মাষ্টমী কী, কীভাবে পালিত হয়, পালনের নিয়ম-কানুন

হিন্দু ক্যালেন্ডার অনুসারে ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে পালিত হয় কৃষ্ণ জন্মাষ্টমী। মনে করা হয় এই দিনেই জন্মগ্রহণ করেছিলেন শ্রীকৃষ্ণ। গোটা দেশেই শ্রীকৃষ্ণের জন্মতিথি প্রবল ভক্তি ও উদ্দীপনা সহকারে পালিত হয়। বিভিন্ন জায়গায় এই দিনটি নানা নামে পালিত হয়। কোথাও কৃষ্ণ জন্মাষ্টমী, কোথাও শ্রীজয়ন্তী, কোথাও গোকূলাষ্টমী, আবার কোথাও শ্রীকৃষ্ণ জয়ন্তী নামে পালিত হয় এই দিনটি। এই দিনে শ্রীকৃষ্ণের বাল্য রূপের আরাধনা করা হয়।

শ্রীকৃষ্ণের জীবন কাহিনী

ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে রোহিণী লক্ষত্র যোগে কৃষ্ণ মধুরায় কংসের কারাগারে মাতা দেবকীর অষ্টম সন্তান রূপে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর এই জন্মদিনকে জন্মাষ্টমী বলা হয়।কংসের আশঙ্কা ছিল যে তাদের পিতামাতার অষ্টম সন্তান তাকে হত্যা করবে। কৃষ্ণ অষ্টম সন্তান হলেও তার বাবা বাসুদেব তাকে তার বন্ধু নন্দ দিয়ে কংশের হাত থেকে রক্ষা করেছিলেন।

ভগবান শ্রীকৃষ্ণ গোকুল সমাজে তার পালক পিতা নন্দ এবং পালক মাতা যশোদার কাছে বড় হয়েছেন। তিনি তার শৈশব এবং যৌবনে বেশ কয়েকটি অসুরকে হত্যা করে বেশ কয়েকটি জাদুকরী অভিনয় দেখিয়েছিলেন এবং তিনি বড় হয়ে একজন শক্তিশালী ব্যক্তি হয়েছিলেন। অবশেষে, তিনি এবং তার ভাই বলরাম একটি যুদ্ধের টুর্নামেন্টের জন্য কংশের প্রাসাদে গিয়েছিলেন, যেখানে কৃষ্ণ কংসকে হত্যা করেছিলেন।

১৪৩০ বাংলার (২০২৩সাল) জন্মাষ্টমী ভগবান শ্রীকৃষ্ণের ৫২৪৯তম জন্মাষ্টমী। কারণ, বিভিন্ন পুরাণ ও প্রাচীন গ্রন্থ মতে, ভগবান শ্রীকৃষ্ণ ১২৫ বছর প্রকট লীলাবিলাস করেন। ১২৫ বছর ধরাধামে অবস্থান করে বৈকুন্ঠে গমন করেন। মাঘ মাসের পূর্ণিমা তিথিতে তিনি ইহধাম ত্যাগ করে অন্তর্ধান করেন। সেই দিনই কলি প্রবেশ করে। সেই দিন ছিল শুক্রবার।

খ্রিস্টপূর্ব ৩১০১ সালে কলিযুগ আরম্ভ হয়। বর্তমান ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ। তা হলে কলির বয়স ৩১০১+২০২৩=৫১২৪ বছর। শ্রীকৃষ্ণের অর্ন্তধানের দিন কলির আবির্ভাব। শ্রীকৃষ্ণ ১২৫ বছর প্রকট লীলা করেছেন। তা হলে শ্রীকৃষ্ণের আবির্ভাব ৫১২৪ + ১২৫= ৫২৪৯ বছর পূর্বে হয়েছিল।

শ্রীকৃষ্ণ ভগবান কে অত্যন্ত শক্তিশালী ঈশ্বর হিসেবে বিবেচনা করা হয়। অশুভ হাতছানি থেকে মুক্ত করার একটি বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়ে তিনি পৃথিবীতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। মহাকাব্য, মহাভারতে তার গভীর প্রভাব ছিল, যেখানে তিনি পাণ্ডবদের পক্ষ নিয়েছিলেন এবং কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে তাদের বিজয়ের পথ দেখিয়েছিলেন। সারা জীবন তিনি ভক্তি ও কর্মের ধারণা প্রচার করেন।

জন্মাষ্টমী উদযাপন

শ্রীজন্মাষ্টমী ব্রতদিন নির্ণয় করতে গিয়ে শাস্ত্রে বলা হয়েছে,

কৃষ্ণোপাস্যাষ্টমী ভাদ্রে রোহিণ্যাঢ্যা মহাফলা।

নিশীথেহত্রাপি কিঞ্চেন্দৌজ্ঞে বাপি নবমীযুতা॥

অর্থাৎ, ভাদ্রমাসে কৃষ্ণাষ্টমী উপবাস যোগ্যা। রোহিণী নক্ষত্রযুক্তা হলে আরও অধিক ফলপ্রদা। আর নবমী তিথি সংযুক্তা হলে আরও অধিক ফলপ্রদা হয়।

পদ্মপুরাণে বলা হয়েছে

পঞ্চগব্যং যথা শুদ্ধং ন গ্রাহ্যং মদ্যসঙযুক্তম্।

রবিবিদ্ধা তথা ত্যজ্যা রোহিণী সহিতা যদি॥

অনুবাদঃ যদিও পঞ্চগব্য পবিত্র, কিন্তু এতে মদ মিশলে আর তা গ্রহণযোগ্য থাকেনা, তেমনিভাবে রোহিণী নক্ষত্র সংযুক্তা হলেও সপ্তমীবিদ্ধা অষ্টমী গ্রহণযোগ্য নয়।

তাহলে দেখা যাচ্ছে যে, সপ্তমী তিথি থাকার দরুন ঐ দিন অষ্টমী হলেও তা জন্মাষ্টমী নয়।

শ্রী কৃষ্ণের জন্মাষ্টমী কেন পালন করা হয়

হিন্দু পুরান অনুসারে আজ থেকে আনুমানিক প্রায় ০৫ হাজার বছর আগে,৩২২৮ খ্রিস্ট পূর্বাব্দে ১৯ জুলাই ভগবান বিষ্ণু অষ্টম অবতার স্বরূপ শ্রীকৃষ্ণ রুপে মানবতার নিয়ে ধরাধামে অবতীর্ণ হন।

সেই সময় মথুরার রাজা কংসের অত্যাচারে সমস্ত মথুরা নগরী ত্রাহিমাম রব তুলছিল। সেই সময় দুষ্টের দমনকারী ও শিষ্ঠের পালনহার

ভগবান শ্রী বিষ্ণু মানবতারে দৈবকীর গর্ভে অষ্টম সন্তান হিসাবে শ্রীকৃষ্ণ রূপে জন্ম নেন। ভগবান শ্রীকৃষ্ণের অমৃত প্রেমের বাণী ভগবদ গীতা গ্রন্থের মধ্যে শ্লোক হিসাবে বর্ণিত আছে।

শ্রীমৎ ভগবদ গীতায় ভগবান শ্রী কৃষ্ণ বলেছেন ‘যখনই ধরাধাম মানবকুল পাপের ভারে ঝুকে যাবে,তখনই আমি অধর্মের পরাজয় এবং ধর্মকে রক্ষা করে সত্য প্রতিষ্ঠার জন্য যুগে যুগে অবতীর্ণ হব।’

হিন্দু ধর্মালম্বী মানুষদের কাছে শ্রী কৃষ্ণের জন্মাষ্টমী হল অশুভ শক্তির বিনাশ করে শুভ শক্তির জয়ের আনন্দ উৎসব। তাই সনাতন হিন্দু ধর্মের মানুষেরা

তাদের ধর্মীয় বিশ্বাস ও ঐক্যতান ধরে রাখার জন্য প্রতি বছর শ্রী কৃষ্ণের জন্ম তিথিকে শ্রীকৃষ্ণ জন্মাষ্টমী হিসাবে পালন করে থাকে।

জন্মাষ্টমী কিভাবে পালন করা হয়

হিন্দু ধর্মাবলম্বী বিশেষত বৈষ্ণবদের কাছে জন্মাষ্টমী একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎসব। এই উৎসব নানা ভাবে উদযাপন করা হয়। যেমন – ভগবত পুরাণ অনুযায়ী নৃত্য, নাটক যাকে বলা হয় রাসলীলা বা কৃষ্ণ লীলা, মধ্যরাত্রি তে শ্রীকৃষ্ণের জন্মের মুহূর্তে ধর্মীয় গীত গাওয়া, উপবাস, দহি হান্ডি প্রভৃতি।

রাসলীলা তে মূলত শ্রীকৃষ্ণের ছোটবেলার বিভিন্ন ঘটনা দেখানো হয়। অন্যদিকে দহি হান্ডি প্রথায় অনেক উঁচুতে মাখনের হাড়ি রাখা হয় এবং অনেক ছেলে মিলে মানুষের পিরামিড তৈরি করে সেই হাড়ি ভাঙ্গার চেষ্টা করে। তামিলনাড়ুতে এ প্রথা উড়িয়াদি নামে পরিচিত।

জন্মাষ্টমী কীভাবে পালন করবেন

শ্রীকৃষ্ণের জন্মদিন একটি কিংবদন্তী দিন। এই দিন মানুষ কৃষ্ণের প্রতি ভালোবাসা ব্যক্ত করার জন্য অভুক্ত থাকে, ধর্মীয় গান গায় এবং উপবাস পালন করে। শ্রীকৃষ্ণের জন্ম তিথিতে মধ্যরাতে তার ছোট ছোট মূর্তি কে স্নান করিয়ে কাপড় দিয়ে মোছা হয় এবং দোলনায় সাজানো হয়।

তারপর উপাসক মন্ডলী নিজেদের মধ্যে খাদ্য ও মিষ্টান্ন বিনিময় করে উপবাস ভঙ্গ করে। গৃহস্ত মহিলারা বাড়ির বিভিন্ন দরজার বাইরে, রান্নাঘরে শ্রী কৃষ্ণের পদচিহ্ন এঁকে দেন যা শ্রীকৃষ্ণের যাত্রা হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

১। জন্মাষ্টমীর আগের দিন নিরমিষ অন্ন খেয়ে সংযম পালন করতে হবে এবং রাত ১২টার মধ্যে খেয়ে নিতে হবে। ঘুমনোর আগে অবশ্যই ভাল করে মুখ ধুয়ে ঘুমতে হবে।

২। জন্মাষ্টমীর দিন সকাল থেকে মধ্য রাত্রি পর্যন্ত উপবাস এবং জাগরণ। উপবাস থেকে হরিনাম জপ, কৃষ্ণ লীলা শ্রবণ, ভগবানকে দর্শন, ভক্ত সঙ্গে হরিনাম কীর্তন, অভিষেক দর্শন করতে হবে এবং ভগবানকে অভিষেক করে একাদশীর দিনের মতো অনুকল্প প্রসাদ সেবন করতে হবে।

৩। তবে যাঁদের উপবাস পালনে সমস্যা, অসুস্থ, তাঁরা অবশ্যই দুপুর ১২ টার পরে, কৃষ্ণের কাছে ক্ষমা চেয়ে, একটু দুধ, বা ফল খেতে পারবেন। তবে এই ব্রতে একাদশীর মতোই অন্ন-সহ পঞ্চ রবি শস্য খাবার বিধান নেই।

৪। জন্মাষ্টমীর পরের দিন সকালে স্নান করা শেষে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পারণ মন্ত্র পাঠ করে শ্রীকৃষ্ণের প্রসাদ দিয়ে পারণ করবেন।

পারণ আরম্ভের মন্ত্র: “সর্বায় সর্বেশ্বরায় সর্বপতয়ে সর্বসম্ভবায় গোবিন্দায় নমো নমঃ।”

পারণান্তে মন্ত্র: “ভূতায় ভূতেশ্বরায় ভূতপতয়ে ভূতসম্ভবায় গোবিন্দায় নমো নমঃ।”

বিঃদ্রঃ শাস্রে আছে কেউ যদি একবার শ্রীকৃষ্ণের এই জন্মষ্টমী উপবাস পালন করে তা হলে তাকে আর এই জড় জগতে জন্ম, মৃত্যু, জড়া, ব্যাধি, ভোগ করতে হয় না, ও পূর্নজন্ম গ্রহন করতে হয় না।

জন্মাষ্টমীর পূজার উপকরণ 

এখানে আমরা ঘরোয়া ভাবে শ্রীকৃষ্ণের বাল গোপালের পূজা পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করব। বাকি আপনি চাইলে পুরুত ঠাকুর দিয়ে মন্ত্র উচ্চারণ করে গোপালের পূজা করাতে পারেন।

যাদের ঘরে বাল গোপালের মূর্তি আছে তারা ঘরোয়া উপায়ে বাল গোপালকে পূজা দিয়ে সন্তস্ট করতে পারেন। ঘরোয়া উপায়ে খুব সামান্য আয়োজনে গোপালের পূজার আয়োজন করা যায়।

গোপালের জন্মাষ্টমী পূজার উপকরণ হিসাবে ফুল,বেল পাতা,তুলসী পাতা,মধু,ঘী,ধুপ,আতপ চাল,পঞ্চ প্রদীপ,আসন ও যথা সম্ভব ভোগের আয়োজন করে গোপালকে ভোগ নিবেদন করা যায়।

শ্রী কৃষ্ণের অষ্টোত্তর শতনাম

শ্রীকৃষ্ণের জন্মতিথিতে উপোসীরা শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমীর পূজা সেরে শ্রীকৃষ্ণের অষ্টোত্তর শতনাম পাঠ করেন। শ্রী কৃষ্ণের অষ্টোত্তর শতনাম হল কৃষ্ণর ১০৮ খানা আলাদা আলাদা নাম।

শ্রীনন্দ রাখিল নাম নন্দের নন্দন।

যশোদা রাখিল নাম যাদু বাছাধন।

উপানন্দ নাম রাখে সুন্দর গোপাল।

ব্রজবালক নাম রাখে ঠাকুর রাখাল।

সুবল রাখিল নাম ঠাকুর কানাই।

শ্রীদাম রাখিল নাম রাখাল রাজা ভাই।

ননীচোরা নাম রাখে যতেক গোপিনী।

কালসোনা নাম রাখে রাধা-বিনোদিনী।

কুজ্বা রাখিল নাম পতিত-পাবন হরি।

চন্দ্রাবলী নাম রাখে মোহন বংশীধারী।

অনন্ত রাখিল নাম অন্ত না পাইয়া।

কৃষ্ণ নাম রাখেন গর্গ ধ্যানেতে জানিয়া।

কন্বমুনি নাম রাখে দেব চক্রপাণী।

বনমালী নাম রাখে বনের হরিণী।

গজহস্তী নাম রাখে শ্রীমধুসূদন।

অজামিল নাম রাখে দেব নারায়ন।

পুরন্দর নাম রাখে দেব শ্রীগোবিন্দ।

দ্রৌপদী রাখিল নাম দেব দীনবন্ধু।

সুদাম রাখিল নাম দারিদ্র-ভঞ্জন।

ব্রজবাসী নাম রাখে ব্রজের জীবন।

দর্পহারী নাম রাখে অর্জ্জুন সুধীর।

পশুপতি নাম রাখে গরুড় মহাবীর।

যুধিষ্ঠির নাম রাখে দেব যদুবর।

বিদুর রাখিল নাম কাঙ্গাল ঈশ্বর।

বাসুকি রাখিল নাম দেব-সৃষ্টি স্থিতি।

ধ্রুবলোকে নাম রাখে ধ্রুবের সারথি।

নারদ রাখিল নাম ভক্ত প্রাণধন।

ভীষ্মদেব নাম রাখে লক্ষ্মী-নারায়ণ।

সত্যভামা নাম রাখে সত্যের সারথি।

জাম্বুবতী নাম রাখে দেব যোদ্ধাপতি।

বিশ্বামিত্র নাম রাখে সংসারের সার।

অহল্যা রাখিল নাম পাষাণ-উদ্ধার।

ভৃগুমুনি নাম রাখে জগতের হরি।

পঞ্চমুখে রাম নাম গান ত্রিপুরারি।

কুঞ্জকেশী নাম রাখে বলী সদাচারী।

প্রহ্লাদ রাখিল নাম নৃসিংহ-মুরারী।

বশিষ্ঠ রাখিল নাম মুনি-মনোহর।

বিশ্বাবসু নাম রাখে নব জলধর।

সম্বর্ত্তক নাম রাখে গোবর্দ্ধনধারী।

প্রাণপতি নাম রাখে যত ব্রজনারী।

অদিতি রাখিল নাম আরতি-সুদন।

গদাধর নাম রাখে যমল-অর্জুন।

মহাযোদ্ধা নাম রাখি ভীম মহাবল।

দয়ানিধি নাম রাখে দরিদ্র সকল।

বৃন্দাবন-চন্দ্র নাম রাখে বিন্দুদূতি।

বিরজা রাখিল নাম যমুনার পতি।

বাণী পতি নাম রাখে গুরু বৃহস্পতি।

লক্ষ্মীপতি নাম রাখে সুমন্ত্র সারথি।

সন্দীপনি নাম রাখে দেব অন্তর্যামী।

পরাশর নাম রাখে ত্রিলোকের স্বাম।

পদ্মযোনী নাম রাখে অনাদির আদি।

নট-নারায়ন নাম রাখিল সম্বাদি।

হরেকৃষ্ণ নাম রাখে প্রিয় বলরাম।

ললিতা রাখিল নাম বাদল-শ্যাম।

বিশাখা রাখিল নাম অনঙ্গমোহন।

সুচিত্রা রাখিল নাম শ্রীবংশীবদন।

আয়ন রাখিল নাম ক্রোধ-নিবারণ।

চন্ডকেশী নাম রাখে কৃতান্ত-শাসন।

জ্যোতিষ্ক রাখিল নাম নীলকান্তমণি।

গোপীকান্ত নাম রাখে সুদাম ঘরণী।

ভক্তগণ নাম রাখে দেব জগন্নাথ।

দুর্বাসা নাম রাখে অনাথের নাথ।

রাসেশ্বর নাম রাখে যতেক মালিনী।

সর্বযজ্ঞেশ্বর নাম রাখেন শিবানী।

উদ্ধব রাখিল নাম মিত্র-হিতকারী।

অক্রুর রাখিল নাম ভব-ভয়হারী।

গুঞ্জমালী নাম রাখে নীল-পীতবাস।

সর্ববেত্তা নাম রাখে দ্বৈপায়ণ ব্যাস।

অষ্টসখী নাম রাখে ব্রজের ঈশ্বর।

সুরলোকে নাম রাখে অখিলের সার।

বৃষভানু নাম রাখে পরম ঈশ্বর।

স্বর্গবাসী নাম রাখে সর্ব পরাৎপর।

পুলোমা রাখেন নাম অনাথের সখা।

রসসিন্ধু নাম রাখে সখী চিত্রলেখা।

চিত্ররথ নাম রাখে অরাতি দমন।

পুলস্ত্য রাখিল নাম নয়ন-রঞ্জন।

কশ্যপ রাখেন নাম রাস-রাসেশ্বর।

ভাণ্ডারীক নাম রাখে পূর্ণ শশধর।

সুমালী রাখিল নাম পুরুষ প্রধান।

পুরঞ্জন নাম রাখে ভক্তগণ প্রাণ।

রজকিনী নাম রাখে নন্দের দুলাল।

আহ্লাদিনী নাম রাখে ব্রজের গোপাল।

দেবকী রাখিল নাম নয়নের মণি।

জ্যোতির্ম্ময় নাম রাখে যাজ্ঞবল্ক্য মুনি।

অত্রিমুনি নাম রাখে কোটি চন্দ্রেশ্বর।

গৌতম রাখিল নাম দেব বিশ্বম্ভর।

মরীচি রাখিল নাম অচিন্ত্য-অচ্যুত।

জ্ঞানাতীত নাম রাখে শৌনকাদিসুখ।

রুদ্রগণ নাম রাখে দেব মহাকাল।

সুরগণ নাম রাখে ঠাকুর দয়াল।

সিদ্ধগণ নাম রাখে পুতনা-নাশন।

সিদ্ধার্থ রাখিল নাম কপিল তপোধন।

ভাদুরি রাখিল নাম অগতির গতি।

মৎস্যগন্ধা নাম রাখে ত্রিলোকের পতি।

শুক্রাচার্য্য নাম রাখে অখিল বান্ধব।

বিষ্ণুলোকে নাম রাখে দেব শ্রীমাধব।

যদুগণ নাম রাখে যদুকুলপতি।

অশ্বিনীকুমার নাম রাখে সৃষ্টি-স্থিতি।

অর্য্যমা রাখিল নাম কাল-নিবারণ।

সত্যবতী নাম রাখে অজ্ঞান-নাশন।

পদ্মাক্ষ রাখিল নাম ভ্রমরী-ভ্রমর।

ত্রিভঙ্গ রাখিল নাম যত সহচর।

বংকচন্দ্র নাম রাখে শ্রীরূপমঞ্জরী।

মাধুরা রাখিল নাম গোপী-মনোহারী।

মঞ্জুমালী নাম রাখে অভীষ্টপুরণ।

কুটিলা রাখিল নাম মদনমোহন।

মঞ্জরী রাখিল নাম কর্ম্মব্রহ্ম-নাশ।

ব্রজব নাম রাখে পূর্ণ অভিলাস।

জন্মাষ্টমী পালনের ৫ টি ফল

প্রচলিত সনাতনী বিশ্বাসমতে জন্মাষ্টমী ব্রত পালনের ফলে মেলে বিশেষ ফল

১. সুস্থ পুত্রসন্তানের জন্ম হয়
২. সর্ব শত্রু বিনাশ হয়
৩. সকল বাধা বিঘ্ন দূরীভূত হয়,
৪. ঐশ্বর্য প্রাপ্তি হয় এবং
৫. ঈশ্বর তাঁকে সর্বদা রক্ষা করেন

আশা করি জন্মাষ্টমী সম্পর্কে এটুকু তথ্য আপনারা মনোযোগ সহকারে পড়েছেন এবং বুঝেছেনজন্মাষ্টমী সম্পর্কে আরো কিছু যদি আপনার জানা থাকে তাহলে কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানাবেন।আমরা আমাদের যে আর্টিকেলটি রয়েছে সেটি আপডেট করে আপনার প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব অথবা আপনাকে কমেন্টেই রিপ্লাই করা চেষ্টা করব

Avatar

এই ব্লগসাইট থেকে যদি কোন ভক্তদের বিন্দু মাত্রও লাভ হয়ে থাকে তাহলে আমার এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা সার্থক হবে বলে মনে করি।

Leave a Comment