নির্দিষ্ট কোন এক দিন মা দিবস এই ধারণাই আমার কাছে অগ্রহণযোগ্য মনে হয় বরং মা দিবস প্রতিটাদিন, প্রতিটা মুহূর্ত কেননা এই যে আমি তার সম্পূর্ণটাই মাতা – পিতার ; আমার বলে কিছুই আমার নহে।
শাস্ত্রে বলা হয়েছে মাতার সমান আশ্রয় নাই, রক্ষক নাই, মাতার সমান কেউ নাইঃ
“নাস্তি মাতৃসমাচ্ছয়া নাস্তি মাতৃসমা গতি।
নাস্তি মাতৃসমং ত্রাণং নাস্তি মাতৃসমা প্রিয়া।।” (মহাভারত শান্তিপর্ব ২০৬/৩১ )
সরলার্থঃ–মাতার তুল্য আশ্রয় নাই, মাতার সমান উপায় নাই, মাতার ন্যায় রক্ষক নাই এবং মাতা সদৃশ প্রিয় নাই।
শাস্ত্রে বলা হয়েছে সকল গুরুদের থেকেও মাতা গরীয়সীঃ
স গুরুর্যঃ ক্রিয়াঃ কৃত্বা বেদমস্ম প্রযচ্ছতি।
উপনীয় দদদ্বেদমাচার্য্যঃ স উদাহৃতঃ।।
একদশমুপাধ্যায় ঋত্বিগ্ যজ্ঞকৃদুচ্যতে।
এতে মান্যা যথাপূর্ব্বমেভ্যো মাতা গরীয়সী।। (যাজ্ঞবল্ক্য সংহিতা ১/৩৪-৩৫)
ভাবার্থঃ যিনি বেদের একদেশ শিক্ষা দেন, তাঁকে উপাধ্যায় এবং যিনি যজ্ঞ করেন তাঁকে ঋত্বিক বলা যায়। গুরু, আচার্য্য, উপাধ্যায় এবং ঋত্বিক এই কয় মান্যের মধ্যে যদপেক্ষা পূর্বে যার উল্লেখ হয়েছে, তদপেক্ষা তিনি অধিক মান্য ; অর্থাৎ গুরু সর্বাপেক্ষা মান্য ; আচার্য্য তার থেকে কিঞ্চিৎন্যূন ইত্যাদি। কিন্তু মাতা সকলের থেকেও অধিকতর মাননীয়া তথা গরীয়সী।